বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর, সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, আগামী ১লা আগস্ট ঢাকায় জামায়াতের সমাবেশ জনগণের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। ক্ষমতাসীন আওয়ামী সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে এটা দেশের জনগণ কোনো ভাবেই মনে করে না। জনগণ দেখেছে যে, দেশে দিনের ভোট আগের রাতেই সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমান সরকার তার ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করতে আবারও প্রহসনের নির্বাচন করতে চায়। আমরা বলি এখন ২০১৪ বা ২০১৮ সাল নয় এবং সেই পরিবেশও আর নেই। তাই বর্তমান সংকটের উত্তম সমাধান হচ্ছে, অবিলম্বে এই সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে একটি নির্বাচন কালীণ কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠা করা।সেই কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নির্বাচনে দেশের জনগণ তাদের যোগ্য প্রতিনিধি নির্বাচনের মাধ্যমে নিজেদের ভোট ও ভাতের অধিকার ফিরে পাবে। আওয়ামীলীগ যদি আবারো ভোটারবিহীন নির্বাচন করতে চায়, তাহলে এই সরকার অস্তিত্বহীন হয়ে পড়বে। পরিস্থিতি এখন আপনাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। তাই কালবিলম্ব না করে অবিলম্বে নিদর্লীয় নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন। অন্যথায় জনগণ আন্দোলনের মাধ্যমে আপনাদেরকে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য করবে।
তিনি রাজধানীতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আগামী ১লা আগস্টের সমাবেশ বাস্তবায়নে প্রস্তুতি উপলক্ষে ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের দায়িত্বশীল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারী ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের সঞ্চালনায় বুধবার রাতে অনুষ্ঠিত সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারী ড. আব্দুল মান্নান, ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল মঞ্জুরুল ইসলাম। সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর যথাক্রমে আব্দুস সবুর ফকির ও এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন। কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারী যথাক্রমে দেলওয়ার হোসাইন, কামাল হোসাইন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক মোকাররম হোসাইন, মাওলানা আবু সাদিক, ইঞ্জিনিয়ার শেখ আল আমিন, ড. মোবারক হোসাইন সহ ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্যবৃন্দ, থানা আমীর ও সেক্রেটারী ও বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার আদায়ে জামায়াতে ইসলামী কাজ করে যাচ্ছে। জামায়াতের আন্দোলন হচ্ছে এদেশের মানুষের হারানো অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য। নির্দলীয় কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সুষ্ঠু নির্বাচনের করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য। আমরা আগামী ১লা আগস্ট মঙ্গলবার রাজধানীর বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে শান্তিপুর্ণ সমাবেশ করতে চাই। রাষ্ট্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাগুলো শান্তিপূর্ণ সেই সমাবেশ বাস্তবায়নে আমাদের সার্বিক সহযোগিতা করবে বলে আমরা আশা করি। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এদেশের সংসদে বার বার প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক সংগঠন। কারো মুখের কথায়, শব্দ চয়নে জামায়াতের অবস্থান পরিবর্তন হবে না। বাংলাদেশে রাজনীতি করার জন্য এদেশের জনগণই আমাদের মূলশক্তি। বায়তুল মোকাররম উত্তর গেইটে জামায়াতে ইসলামী সব সময়ই শান্তিপূর্ন সভা সমাবেশ করে এসেছে। আমরা বিশৃংখলা চাই না, আমরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে চাই। দেশের জনগণ মনে করে জামায়াতের সমাবেশ বাস্তবায়নে সহযোগিতা করা আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বাহিনী সহ রাষ্ট্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা গুলোর নৈতিক দায়িত্ব।
সভাপতির বক্তব্যে নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, আমরা রাজধানীতে শান্তিপুর্ণ সমাবেশ করতে চাই। মাত্র ১ মাস পুর্বেও আমরা রাজধানীতে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ পালন করে দেখিয়েছি। সরকার এবারো সহযোগিতা করবেন বলে আমরা প্রত্যাশা করি। আজ দেশের জনগণের মুক্তির জন্য বড় বেশি প্রয়োজন এই অবৈধভাবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন নিশ্চিত করা। তিনি আগামী ১লা আগস্ট মঙ্গলবার রাজধানীর বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে জামায়াতের শান্তিপুর্ণ সমাবেশ সফল করতে সর্ব সাধারণকে দলে দলে অংশগ্রহণ করতে এবং বিশেষ করে রাজধানীর সকল শ্রেণীপেশার জনগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।