রাজধানীর মালিবাগে গণমিছিল থেকে গ্রেফতারকৃত জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীদের উপরে থানায় পুলিশ হেফাজতে বর্বর নির্যাতনের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে আজ নিম্নোক্ত বিবৃতি প্রদান করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর জননেতা নূরুল ইসলাম বুলবুল।
বিবৃতিতে নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, গতকাল ৩০শে ডিসেম্বর পুর্ব ঘোষিত কর্মসূচীর অংশ হিসেবে রাজধানীতে জামায়াতে ইসলামীর শান্তিপূর্ণ গণমিছিলে পুলিশ সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে বাঁধা প্রদান করে। বিনা উস্কানিতে পুলিশ জনগণের শান্তিপূর্ণ মিছিলে লাঠি চার্জ, টিয়ারশেল নিক্ষেপ ও গুলি করে। পুলিশের হামলায় ৫ জন গুলিবিদ্ধ সহ ৫৩ জন জামায়াত নেতাকর্মী আহত হয় এবং অসংখ্য নেতা-কর্মীদের পুলিশ গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত নেতা-কর্মীদের উপরে থানায় পুলিশি হেফাজতে বর্বর ও অমানবিক নির্যাতন চালানো হয়েছে। থানা হেফাজতে পুলিশের নির্যাতনে জামায়াত কর্মী কাওসার সুমনের হাত ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। আরও নির্যাতনের লক্ষ্যে তাদের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আমি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি একইসাথে গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের রিমান্ড বাতিল করে নিঃশর্ত মুক্তির দাবী জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, সাংবিধানিকভাবে দেশের যেকোনো নাগরিক তার ন্যায্য দাবিতে মিছিল, সভা-সমাবেশ, মানববন্ধন করার অধিকার রাখে। অথচ রাজনৈতিক কর্মসূচি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশের বর্বরোচিত নির্যাতন ও হাত-পা ভেঙ্গে ফেলার ঘটনা স্বাধীন দেশে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল। আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্ব হচ্ছে জনগণের জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অথচ এখন তারা ক্ষমতাসীনদের পেটুয়া বাহিনীতে পরিনত হয়ে প্রতিনিয়ত বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের উপর জুলুম নির্যাতন চালাচ্ছে। মূলত জবাবদিহিতার অভাব ও বিচারহীনতার সংস্কৃতির ফলে তারা এমন ন্যাক্কারজনক কর্মে লিপ্ত হচ্ছে। দমন পীড়ন ও জুলুম-নির্যাতন চালিয়ে জনগণের ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনকে বন্ধ করা যাবেনা। আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সহ সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান সমূহকে অমানবিক আচরণ পরিহার করে সংবিধানের আলোকে আরও দায়িত্বশীল ভুমিকা পালন করার আহবান জানাচ্ছি অন্যথায় তাদেরকেও এই অমানবিক আচরণের জন্য বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে।