বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর নূরুল ইসলাম বুলবুল ২১ জুন মঙ্গলবার চাপাইনবাবগঞ্জে সড়ক দূর্ঘটনা ও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নিহতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছেন। এ সময় তিনি বলেন, জীবন মৃত্যুর মালিক আল্লাহ তায়ালা। এর ফয়সালা আসমান থেকে হয়ে থাকে। এ ধরনের মৃত্যুকে রাসূল (সা:) শহীদী মৃত্যু বলে অভিহিত করেছেন। তাই ধৈর্য্যধারণ করে আল্লাহর সাহায্য চাইতে হবে। তিনি উল্লেখ করেন, গণমানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে আমরা আমাদের সীমিত সামর্থ নিয়ে অসহায়, বিপদগ্রস্থ ও দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামী চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার কর্মপরিষদ সদস্য আবদুল খালেক, পৌরসভার সেক্রেটারি মোক্তার হোসেন, শিবিরের শহর সভাপতি আব্দুর রাকিব, পৌর কাউন্সিলর আবদুল খালেকসহ স্থানীয় জামায়াত-শিবির নেতাকর্মী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
আর্থিক সহায়তা প্রদানকালে নূরুল ইসলাম বুলবুল আরো বলেন, জনগণের সকল সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব রাষ্ট্রের। কিন্তু দেশে কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত না থাকায় জনগণ রাষ্ট্রের কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। মূলত, আইনের শাসনের অনুপস্থিতি এবং গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের বিচ্যুতির কারণেই রাষ্ট্র তার গণমুখী চরিত্র হারিয়েছে। তিনি বলেন, জাতির যেকোন দুর্যোগ ও ক্রান্তিকালীন মুহূর্তে রাষ্ট্রের সক্রিয়তা অপরিহার্য হলেও রাষ্ট্র সে দায়িত্ব পালনের দায়িত্বহীনতা ও উদাসীনতার পরিচয় দিচ্ছে। এমতাবস্থায় জামায়াতে ইসলামী একটি আদর্শবাদী ও গণমুখী রাজনৈতিক দল হিসেবে কোন ভাবেই চুপ করে বসে থাকতে পারে না। আর গণমানুষের প্রতি সে দায়বদ্ধতা থেকে আমরা আমাদের সীমিত সামর্থ নিয়ে অসহায়, বিপদগ্রস্থ, দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভা ১৩ নম্বার ওয়ার্ডের টিকরামপুর এলাকার বাসিন্দা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নিহত সাইদুর রহমানের ছেলে মামুনূর রশিদ বাবুর পরিবারের খোজখবর নেন, তাদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। পরে তিনি মামুনূর রশিদ বাবুর পরিবারের হাতে নগদ ৫০ হাজার টাকা তুলে দেন। উল্লেখ্য, মামুনূর রশিদ বাবু পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি ছিলেন। গত ১৮ জুন একটি বাড়িতে ছাঁদ ঢালাইয়ের কাজ করছিলেন। কাজ করা অবস্থায় তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।
এরপরে তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভা ১৫ নম্বার ওয়ার্ডের মসজিদ পাড়ার বাসিন্দা সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত আব্দুল খালেকের ছেলে মোস্তাকিমের পরিবারে যান। তাদের খোঁজখবর নেন এবং সহমর্মিতা প্রকাশ করে পরিবারের হাতে নগদ ৫০ হাজার টাকা তুলে দেন।
উল্লেখ্য, গত ১৬ জুন দিবাগত রাত ২ টার দিকে রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহাসড়কের রাজাবাড়ি এলাকায় একটি ট্রাক ওভারটেক করার সময় মোস্তাকিমের মোটরসাইকেলকে পাশ থেকে চাপা দেয়। এ সময় মাথায়, ঘাড় ও পায়ে আঘাত পেয়ে গুরুতর আহত হয় মোস্তাকিম। পরে দুর্ঘটনায় হতাহতদের উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে ভোর ৪ টার দিকে মারা যান মোস্তাকিম।