বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাছুম বলেছেন, নতুন বাংলাদেশ গঠনে রাসূল(স) এর ন্যায় ও ইনসাফের আদর্শ ধারণ করতে হবে। এই প্রেরণায় আমাদেরকে নতুন বাংলাদেশ গঠনে ভূমিকা রাখতে হবে।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের হলরুমে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের ধানমন্ডি জোনের অগ্রসর কর্মী শিক্ষাশিবিরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমাদের কাজ হবে সকল মানুষের জন্য। এক্ষেত্রে একমাত্র মডেল মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। যুগে যুগে যারা ইসলামী জীবনধারা প্রতিষ্ঠায় কাজ করেছেন, তাদের পথ ছিলো রাসূলের অনুসৃত পথ। তাই তারা মানুষের মাঝে রাসূলের সমাজের অনুরূপ ছাপ রাখতে পেরেছেন এবং আজ তারা আমাদের জন্য প্রেরণার।
ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য ও ধানমন্ডি জোন পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার শেখ আল আমিনের সভাপতিত্বে এবং ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদের সদস্য ও ধানমন্ডি জোন সহকারী পরিচালক মো. আবদুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত শিক্ষা শিবিরে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এডভোকেট মুয়াযযম হোসাইন হেলাল, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর মো. নূরুল ইসলাম বুলবুল, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য ও হাজারীবাগ জোন পরিচালক অধ্যাপক নূরনবী মানিক, আন নাহাদা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মাওলানা রফিকুল ইসলাম মিয়াজি প্রমুখ।
এডভোকেট মুয়াযযম হোসাইন হেলাল বলেন, ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হলেই মানুষ প্রকৃত অর্থে স্বাধীনতার আসল স্বাদ উপভোগ করতে পারবে। ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা না হওয়ার ফলে স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও মানুষ স্বাধীনতা ভোগ করতে পারেনি। স্বাধীন দেশের মানুষ আজও স্বাধীনতার সংগ্রাম করতে হচ্ছে। ০৫ আগস্ট বাংলাদেশের মানুষের নতুন স্বাধীনতার বিজয় হয়েছে। এই বিজয়ের ধারা অব্যাহত রেখে ইসলাম প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে চূড়ান্ত বিজয়ে পৌঁছাতে হবে।
মো. নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, তরুণ প্রজন্ম ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার স্লোগান দিয়ে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। সেই ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য আল্লাহর বিধান ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ইসলাম ব্যতিত ন্যায় বিচার কিংবা শান্তি প্রতিষ্ঠা কল্পনাও করা যাবে না। বিগত ৫৩ বছরে মানুষের তৈরি মতবাদে বাংলাদেশ পরিচালিত হয়েছে। ফলে যারা শাসন ক্ষমতায় ছিল তারা ব্যতিত রাষ্ট্রের কোন নাগরিক শান্তি পায়নি, অধিকার পায়নি, লাভবান হয়নি। মানুষের তৈরি আইনে একটি গোষ্ঠী সুবিধা পায়, অপর গোষ্ঠী সুবিধা হারায়। কিন্তু আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠা হলে মানুষ সমান অধিকার ও সুযোগ-সুবিধা ভোগ করিবে। সমাজে কোন বৈষম্য থাকবে না। শান্তির বাতিঘর ইসলাম। তাই ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় তিনি উপস্থিত অগ্রসর কর্মীদের আরো এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।